2021-08-19 02:07:46
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফ.বি.আই পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আ ল কা য়ে দা র সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথিত অভিযোগে ২০০৩ সালে ড. আ ফি য়া কে তাঁর তিন সন্তানসহ করাচীর রাস্তা থেকে অপহরণ করে। পাকিস্তানের কোন কারাগারে না রেখে এবং পাকিস্তানী আদালতে উপস্থাপন না করে পাঁচ বছর ধরে তাঁকে আফগানিস্তানের বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে গুম করে রাখা হয়। এরপর চলে তাঁর উপর অমানুষিক শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন। বাগরামে কুখ্যাত মার্কিন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, ‘নির্যাতনের সময় একজন নারী বন্দির আর্তচিৎকার অন্য বন্দিদের সহ্য করাও কষ্টকর ছিল.........। সেই নারী বন্দী ছিলেন আফিয়া সিদ্দিকা।
আমেরিকান টর্চার সেলে তাকে গ ণ ধ র্ষ ণ করা হয়, দিনের পর দিন। তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও, কুরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না কারণ, তিনি মুসলমান। কারণ তিনি কুরআন ভালবাসতেন। ৩০ পারা কুরআন যে তার বুকেও ছিল। তিনি যে একজন হাফেজাও ছিলেন। তখন তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেত আরো।
ড.আফিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারিক রায় ঘোষণার সময় তাকে কিছু বলতে বলা হলে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেপ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়েছিলো। আমাকে ছেড়ে দিন। আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।”
তাঁকে এখনো বন্দী করে রাখা হয়েছে।[3]
পশ্চিমা এই নরপশুদের বর্বরতার শিকার নারীদের তালিকা বেশ দীর্ঘ, হাজার হাজার নয়, লাখো লাখো। আবু গারিব, বা গ রা_ম , গু য়ে ন্তা না মো বে বা অন্য কোথাও নির্যাতনের কারণে আমরা কখনো নিপীড়ক সেনাদের বিচার হতে দেখেনি। এ নিয়ে কখনো সোচ্চার হয়নি জাতিসংঘ কিংবা মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আমাদের দেশের শাহবাগীদেরও এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আবার তারাই সুযোগ বুঝে নারী অধিকারের গালভরা বুলি আওড়ায়। কোন একদেশে ইসলামপন্থীরা মুসলিম নারীদের হিজাব পড়ার ল করলে এই সেকুশ্রেণী সব গেলো গেলো বলে চিৎকার শুরু করে।
আবার এরাই পশ্চিমা কর্তৃক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মুসলিম নারীদের ধ র্ষ ণের ব্যাপারে নিরব হয়ে যায়। পশ্চিমা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রে বিদ্যালয়ে মুসলিম মেয়েদের বিকিনি পড়ে ছেলে সহপাঠীদের সাথে সুইমিংপুলে নামতে আইন করে বাধ্য করা হলে কোন অসুবিধা নেই, বোরকা নি ষি দ্ধ করলে অসুবিধা নেই, অসুবিধা কেবল ইসলামী রা ষ্ট্রে মুসলিমদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক হলে। তাদের কাছে নগ্নতায় সমস্যা নেই, সমস্যা কেবল শালীন পোশাকে, সৌন্দর্য বিলিয়ে না বেড়ানোতে।
নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচার, ধ র্ষ ণ যদি হয় নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা। তাহলে এমন স্বাধীনতা আমাদের প্রয়োজন নেই। নারীরা আমাদের মা, বোন, মেয়ে। তোমাদের কাছে নারীর ইজ্জত, আব্রু, সম্মানের মূল্য না থাকতে পারে, আমাদের কাছে আমাদের নারীরা অনেক দামী, অনেক বেশি মূল্যবান।
আমাদের কাছে নারীরা সস্তা বিজ্ঞাপন বা প্রদর্শনের বস্তু নয়। আমরা নারীর রূপ, লাবণ্যকে পুঁজি জ্ঞান করে করে নারীব্যবসা, বিজ্ঞাপনের মডেল তথা পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের পক্ষেই নই। আমরা নারীর ইজ্জত আব্রু হেফাজতের পক্ষে। আল্লাহ প্রদত্ত হিজাবের পক্ষে। আমাদের নিজ নিজ দৃষ্টি হেফাজতের পক্ষে। তাই ইসলামী শা স ন আমাদের জন্য ভীতি বা আতঙ্ক নয়, বেঁচে থাকার উত্তম এক পরিবেশের নাম।
ইসলামী শা স ন আতঙ্ক তো কেবল ব্যভিচারী, মদ্যপ, দূর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত আর নারীলোভীদের জন্য। আপনারা কী তারা যারা এসব অপরাধে জড়িত? না হলে ইসলামী শা স নকে ভয় পাচ্ছেন কেন? নারীদের মেকি বন্ধু সেজে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন কেন? এতো প্যাচিয়ে লাভ কী! আপনারা সেকুরা নারী অধিকারের পক্ষে নাকি নগ্নতার পক্ষে স্পষ্ট করে বললেই তো হয়! এতো নেফাকি-শঠতা কেন? আসল চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়ে যাবে তাই!
- মনির আহমেদ মনির
915 views23:07